আমতলীতে ১৭ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পুড়ে বশীভুত হয়েছে
এস এম সুমন রশিদ,আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ
বরগুনার আমতলীর গুলিশাখালী ইউনিয়নের খেকুয়ানী বাজারের ১৭ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আগুনে পড়ে । এতে অন্তত ২২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
গত সোমবার দিবাগত গভির রাতে খেকুয়ানী বাজারের চৌরাস্তার গোজখালী সড়কের পুর্ব দিকে আনুমানিক রাত ১ টার দিকে বেল্লালের হোসেন নামের চায়ের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। এ খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ৪৫ মিনিট আগুন নিভানোর চেষ্টা চালিয়ে অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এতে মনির, সোহাগ, ছত্তার হেলাল,নুর আলম. এছিন, জামাল, ইমরান, বেল্লাল, সজরুল পরিমল, রুস্তম মৃধা ও দেলোয়ারের দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে অন্তত ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়।
প্রত্যক্ষ সূত্রে মো: নজরুল ইসলাম ও জামাল বলেন, বেল্লালের চায়ের দোকান থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। মুহুর্তের মধ্যে আগুন চারিদিয়ে ছড়িয়ে পরে। আগুনের লেলিহান শিখায় ১৭টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
তারা আরো বলেন, জনস্বার্থের জন্য গুলিশাখালী চাওড়া সংযোগ ব্রিজটি সংস্কারের অভাবে জনদূর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে দুই জেলার মানুষও বলতে পারি।তার বাস্তব রুপ নিলো খেকুয়ানী বাজারে আগুন লাগা। ফায়ার সার্ভিসের গাড়ী খেুকুয়ানী ঝুকি পূর্ন ব্রিজ দিয়ে না আসতে পারার কারনে এতোগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়েছে।
দোকানের মালিক মোঃ হাবিব হাওলাদার কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমার এই দোকান ভারা দিয়ে চলতে হয় আমাকেসহ মোট ১৭ টি দোকান ঘর পুরে ছাই হয়েছে।এতে প্রায় ২২/২৩ লক্ষ টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।আর বেশি ক্ষতি হয়েছে খেকুয়ানি ও চাওড়া সংযোগ ব্রিজের সংস্কারের অভাবে বৃষ্টি জরাজীর্ণ হয়ে আছে। সেক্ষেত্রে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে পারছিল না। গাড়ি আসতে অনেক দেরি করে ফেলেছে।তাতে আরো বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যার হাউজ ইন্সপেক্টর মো. হানিফ বলেন, ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, আশরাফুল আলম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সম্ভব্যনুযায়ী আর্থিক অনুদান দেয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata